পোস্টগুলি

ভালোবাসার স্বপ্ন

 স্মরণিকা,  জানি আছ জেগে   ঘুমাওনি এখনও শুধু আমার কথা ভেবে।  আজ ভরা পূর্ণিমার রাত  আকাশে তারার মেলা  তারি মাঝে চাঁদ  করিছে খেলা।  আছো তুমি স্বপ্নে বিভোর  কি ভাবছো এত? সেই যে পূর্ণিমা রাতে  কথা হয়েছিল যত। বুঝেছি সেই পূর্ণিমা রাতে  তুমি আমি পথে  হেঁটেছিনু একসাথে বসেছিনু পুকুর ঘাটে।  দেখিনু আমরা দুজন  পুকুরের বাঁকা জলে  পড়ি চাঁদের আলো  করিছে খেলা।  স্মরণিকা,  মনে কী পড়ে  তুমি ছিলে আমার  হাতটি ধরে?  তুমি শুয়ে ছিলে  আমার বাহুতে মাথা রেখে  হেসেছিল  চাঁদ  বুঝি আমাদের দেখে।  সেদিনের সেই সুখের স্মৃতি  আজও মনে পড়ে  পড়ে মনে চাঁদের হাসি  আর তোমার স্নিগ্ধ পরশ।  তুমি কি ভুলে গেছ  না ভুল বুঝে আছ  আজ ভরা পূর্ণিমার রাত  তোমার মনে আছে তো?  স্মরণিক,   তুমি সুন্দর  আমার দোষ খুঁজনা  ভালোবাসা থেকে বঞ্চিত করো না।  তুমি ছেড়ে যেওনা  ছলনা করোনা  তুমি আশা দিয়েছ ভালোবাসা দিয়েছ। ফিরে এসো,  হৃদয়ে...

থাকো তুমি সুখে

থাক তুমি সুখে  রেখে গেছ দুঃখে  চলে গেছ দূরে  বাঁধিনি বাহুডরে। ভুল বুঝে চলে গেছ পিছু ডাকিনি  ডেকেইবা কি হবে  তুমি কথা রাখনি।  তুমি চলে গেছ  কাছে ডাকিনি আমি ভালবেসেছি  তুমি ভালবাসনি।  তুমি ভুলে গেছ আমি তো ভুলিনি  আমি থাকি দুঃখে  তবু তুমি থাক সুখে। 

হয়তো তুমি নয়তো

 হয়তো তুমি পূর্ণিমার চাঁদ,  নয়তো জোছনা। হয়তো তুমি গোলাপের পাপড়ি,  নয়তো রজনীগন্ধা। হয়তো তুমি ভোরের শিশির,  নয়তো কুয়াশা। হয়তো তুমি মুক্ত বিহঙ্গ,    নয়তো বরষা। হয়তো তুমি উড়ন্ত গাংচিল, নয়তো কোকিল।  হয়তো তুমি সুখের পায়রা,  নয়তো অধরা।  হয়তো তুমি আলোর আলেয়া নয়তো মরীচিকা, হয়তো তুমি নজরুলের অনামিকা নয়তো সাগরিকা।  হয়তো তুমি স্বর্গের অপ্সরী  নয়তো হুর, হয়তো তুমি মর্তের  সুন্দরী  নয়তো নূর। হয়তো তুমি কবির কবিতা  নয়তো কল্পনা,   হয়তো তুমি শিল্পীর আঁকা ছবি  নয়তো আলপনা।     

যদিও তোমাকে তবুও তুমি

 যদিও তোমাকে  ভাল লেগেছিল,  তবুও  তুমি ভালোবাসনি।  যদিও  তোমাকে  পেতে চেয়েছিলাম,  তবুও  তুমি কাছে আসোনি।  যদিও তোমাকে  কাছে ডেকেছিলাম,  তবুও তুমি সাড়া দাওনি।  যদিও তোমাকে চিঠি লিখেছিলাম, তবুও তুমি উত্তর দাওনি। যদিও তোমাকে কিছু বলেছিলাম,    তবুও তুমি তা শোননি। যদিও তোমাকে ভালোবেসেছিলাম,  তবুও তুমি তা বোঝনি। যদিও তোমাকে মনে রেখেছিলাম,   তবুও তুমি তা জাননি।  যদিও তোমাকে মন চেয়েছিল,  তবুও তুমি তা মাননি। 

ভালোবাসার প্রতীক্ষায়

 ভালোবাসার বলে যা মনে হয়  আসলে তা ভালোবাসা নয়,  ভালোবাসা এসেছিল একবার  চলে তা গেছে নিরবে; ভালোবাসা চলে গেছে সে যে  মিলল না কভু এ জীবনে।  ভালোবাসা তুমি তো এলেনা  জানিনা আসবে কি মরণে!  ভালোবাসা তুমি নিষ্ঠুর এত  আমাকে কাঁদিয়ে সুখ পাও কত; ভালোবাসা তুমি কি অভিশাপ  কেড়ে নাও জীবনের অভিলাষ। 

অভিশপ্ত তুমি

প্রিয়া মনে কি পড়ে  আমাদের প্রথম পরিচয়?  নির্জন পথের মাঝে  হলো তোমার সাথে দেখা; "ছবি,  না তুমি  রবি তোমার ভাই  তোমার বাড়ি বেলঘড়িয়া  ঠিক কি তাই? " তুমি কোন কথা বলনি  নীরবে পথ চলছিলে  হয়ত হয় বা লজ্জা  কিছু একটা পেয়েছিলে।  তোমার বাম গালে তিল   ঘাড়ে জিন্সের ব্যাগ  হাতে থাকতো ছাতা,  নিঃশব্দে পথ চলতে তুমি  এভাবে প্রায়ই হতো দেখা।  তুমি মাথা নিচু করে যেতে  ক্রমেই তোমাকে লাগলো ভালো দেখার পর দেখা হল; তোমাকে সহজ সরল  পল্লীবধূর ন্যায় দেখাতো ।  কিন্তু কে জানতো  বিশ্বাসঘাতিনী তুমি,  আমার ভালোবাসা  নিয়ে ছিনিমিনি খেলবে!  পিশাচী তুমি,  আমাকে আহত করে আমার রক্ত নিয়ে হুলিয়ায় মেতে উঠবে! একবারও ভাবলে না  কি নিষ্ঠুর তুমি আমার কষ্ট, ভালোবাসার মূল্য দিলে না!  আমাকে কি মনে পড়েনা  পড়েনা মনে সেদিনের কথা  অভিশপ্ত তুমি,  আমাকে দিয়েছো ব্যথা।  তবু আজও তোমাকে  পড়ে মনে  মনে পড়ে তোমার  অসহায় চাহনি। 

ছলনাময়ী

 রিজিয়া তুমি নিষ্ঠুর অতি  ভালোবাসো বললে কি ছিল ক্ষতি!  তোমাকে যখন প্রথম দেখেছি  তোমার কথাই শুধু ভেবেছি,  তোমাকে যখন ভালো লেগেছে  মনে আমার দোলা দিয়েছে  তোমাকে বানাতে চেয়েছি সাথী  কিন্তু তুমি দিয়েছো ফাঁকি ; তোমার নীরবতা, তোমার হাসি  আমাকে এনেছে তোমার কাছাকাছি।  বলোনি তুমি মুখটি খুলে  জ্বলেছি তাই তোমার ভুলে  তোমার নীরবতা না বলা কথা  কথা যত তত দিয়েছে ব্যথা; একটুও ভাবলে না আমার কথা  বুঝলে শুধু নিজের স্বার্থটা?  তোমার মত মেয়েরা সবই পারে  কারো জীবন নষ্ট করেই ছাড়ে!  তুমি আমাকে দিয়ে দোষ  এভাবে নিবে ভাবিনি প্রতিশোধ!  শুনেছি নারীরা মমতাময়ী  এতদিনে বুঝেছি ছলনাময়ী। আমার সাথে তোমার ছলনা  ঘৃণা ছাড়া কিছুই দিবে না।  স্বামীর সোহাগ সুখে মিলে বুঝিনি আমাকে যাবে ভুলে, ফুল নিলে না দুঃখ দিলে  আমার সুখ কেড়ে নিলে।  ভাববে কেন দুঃখ দিলে  কাঁদবে যখন তোমার ভুলে; দেখো তখন অতীত ফিরে  আমি ছিলাম তোমাকে ঘিরে  তোমার দেহের পাশটি ঘেঁষে  দেখবে আমি আছি বসে।  তোমার ভুল ভাঙব...

অন্তপুরিকা

অন্তপুরিকা, কেমন আছো তুমি বলতে পারো কতদিন আমায় দেখনি?  খুজনি কী পথে-ঘাটে গোধূলি লগ্নে  দেখনি কী মোহনিদ্রায় স্বপ্নে  তোমার দুটি চোখ বুজেনি কী ইন্দ্রজাল ঘিরে  আমি আসতে পারিনি ব্যস্ত ছিলাম কাজের ভিড়ে ফিরে গেলে কেন এলেনা আমার শান্তিনীড়ে  হয়তো ভয় বা সংশয় ছিল তোমায় ঘিরে।  অন্তপুরিকা, তুমি কি খুজনি তারার মাঝে  পড়েনি কি মনে আমায় নিত্য সব কাজে  সমিরন তোমায় দেয়নি কি বলে  তুমি এসে ফিরে গিয়েছো চলে।  দিনমণি আমার কথা কি বলেনি  নাকি ঘনশিয়ায় দেখা মেনে নি  আমি ছিলাম আমারই শান্তিনীড়ে  লোচন তোমার ভোরে কি ছিল নীরে নাকি অভিমান ভরে ফিরেছো গৃহে  আমি ছিলাম আমারে শান্তিনীড়ে।  অন্তপুরিকা, নাইবা  তুমি এলে না হল দেখা  আমি রবো তরুতলে ছায়া মাখা রবো একা।  পাখি তার আপন গানে  জাগাবে গান আমার প্রাণে বৃক্ষলতা সবুজধানে হবে কথা আমার গানে  মিষ্টি মধুর পাবো যে সুর পাখির কলতানে।  বায়ু আমায় প্রেরণা দেবে তরু দেবে দীক্ষা মাটির কাছে পাবো আমি সহিঞ্চুতা শিক্ষা  বিশ্বাস তোমার নাইবা পেলাম  না তুমি এলে...

ওরা মুক্তিযোদ্ধা

মায়ের ভাষা বাঁচিয়ে রাখতে   যারা শুনেছিল মাতৃভূমির ডাক,  অত্যাচারের জর্জরিত নিপীড়িত মানুষের হাহাকার শুনেছিল পুত্রকন্যা মা-বোনের কান্না আহাজারি আর্তনাদ; যারা বাংলা মায়ের ভাষায় কথা বলতো, লিখত বর্বর সেই পাকহানাদারদের রুখতে  তারাই হাতে তুলে নিল অস্ত্র!  যারা শুনেছিল একটি কন্ঠের উদাত্ত আহ্বান  ছুটে গিয়েছিল ছিনিয়ে  আনতে মায়ের সম্মান।  যাদের খুলে রঞ্জিত বাংলা মায়ের বুক  জননীর  স্বাধীনতায় রয়েছে তাদেরই অবদান।  গর্ভধারিণীর ডাকে তারা ফিরবে না ঘরে  মিশে গেছে আজ যারা জননীর তরে।  মাঝে লাল বৃত্তের সবুজ পতাকায় তাদেরই স্মৃতি অম্লান  বিশ্বের দরবারে তারাই দিয়েছে বাংলা মায়ের স্থান।  তাদের অনেকে হয়েছে শহীদ   ফিরেছেবা কেউ গাজীবেশে  তিরিশ লক্ষ প্রাণের খুন ঢেলে যারা লিখে গেল বাংলাদেশের নাম।  হারিয়েছে যদিও সন্তান বাংলা মায়ের গর্বে ভরা প্রাণ,  মিশবে না ধুলোয় তাদের স্মৃতি রবে চির অম্লান।  তারা রয়েছে বাংলার বুকে, যুগে যুগে রবে মানুষের মুখে  চিরকাল পাবে তারাই সম্মান - ওরা মুক্তিযোদ্ধা।...

একুশ মানে

একুশ মানে  লাখো শহীদের রক্ত ঝরা স্মৃতি ; একুশ মানে শত ছেলে মেয়ের মাতৃভূমি প্রীতি।  একুশ মানে হাজারো মানুষের সারি বেঁধে পথ চলা ; একুশ মানে বাংলা মায়ের ভাষায় কথা বলা।  একুশ মানে কোটি মানুষের স্বজন হারানোর দুখ; একুশ মানে বাংলা মায়ের গর্বে ভরা বুক।  একুশ মানে বাংলার বুকে রক্তের ছড়াছড়ি ; একুশ মানে  অমর হে শহীদ, তোমাদের মোরা স্মরি।