পোস্টগুলি

ভালোবাসার প্রতীক্ষায়

 ভালোবাসার বলে যা মনে হয়  আসলে তা ভালোবাসা নয়,  ভালোবাসা এসেছিল একবার  চলে তা গেছে নিরবে; ভালোবাসা চলে গেছে সে যে  মিলল না কভু এ জীবনে।  ভালোবাসা তুমি তো এলেনা  জানিনা আসবে কি মরণে!  ভালোবাসা তুমি নিষ্ঠুর এত  আমাকে কাঁদিয়ে সুখ পাও কত; ভালোবাসা তুমি কি অভিশাপ  কেড়ে নাও জীবনের অভিলাষ। 

অভিশপ্ত তুমি

প্রিয়া মনে কি পড়ে  আমাদের প্রথম পরিচয়?  নির্জন পথের মাঝে  হলো তোমার সাথে দেখা; "ছবি,  না তুমি  রবি তোমার ভাই  তোমার বাড়ি বেলঘড়িয়া  ঠিক কি তাই? " তুমি কোন কথা বলনি  নীরবে পথ চলছিলে  হয়ত হয় বা লজ্জা  কিছু একটা পেয়েছিলে।  তোমার বাম গালে তিল   ঘাড়ে জিন্সের ব্যাগ  হাতে থাকতো ছাতা,  নিঃশব্দে পথ চলতে তুমি  এভাবে প্রায়ই হতো দেখা।  তুমি মাথা নিচু করে যেতে  ক্রমেই তোমাকে লাগলো ভালো দেখার পর দেখা হল; তোমাকে সহজ সরল  পল্লীবধূর ন্যায় দেখাতো ।  কিন্তু কে জানতো  বিশ্বাসঘাতিনী তুমি,  আমার ভালোবাসা  নিয়ে ছিনিমিনি খেলবে!  পিশাচী তুমি,  আমাকে আহত করে আমার রক্ত নিয়ে হুলিয়ায় মেতে উঠবে! একবারও ভাবলে না  কি নিষ্ঠুর তুমি আমার কষ্ট, ভালোবাসার মূল্য দিলে না!  আমাকে কি মনে পড়েনা  পড়েনা মনে সেদিনের কথা  অভিশপ্ত তুমি,  আমাকে দিয়েছো ব্যথা।  তবু আজও তোমাকে  পড়ে মনে  মনে পড়ে তোমার  অসহায় চাহনি। 

ছলনাময়ী

 রিজিয়া তুমি নিষ্ঠুর অতি  ভালোবাসো বললে কি ছিল ক্ষতি!  তোমাকে যখন প্রথম দেখেছি  তোমার কথাই শুধু ভেবেছি,  তোমাকে যখন ভালো লেগেছে  মনে আমার দোলা দিয়েছে  তোমাকে বানাতে চেয়েছি সাথী  কিন্তু তুমি দিয়েছো ফাঁকি ; তোমার নীরবতা, তোমার হাসি  আমাকে এনেছে তোমার কাছাকাছি।  বলোনি তুমি মুখটি খুলে  জ্বলেছি তাই তোমার ভুলে  তোমার নীরবতা না বলা কথা  কথা যত তত দিয়েছে ব্যথা; একটুও ভাবলে না আমার কথা  বুঝলে শুধু নিজের স্বার্থটা?  তোমার মত মেয়েরা সবই পারে  কারো জীবন নষ্ট করেই ছাড়ে!  তুমি আমাকে দিয়ে দোষ  এভাবে নিবে ভাবিনি প্রতিশোধ!  শুনেছি নারীরা মমতাময়ী  এতদিনে বুঝেছি ছলনাময়ী। আমার সাথে তোমার ছলনা  ঘৃণা ছাড়া কিছুই দিবে না।  স্বামীর সোহাগ সুখে মিলে বুঝিনি আমাকে যাবে ভুলে, ফুল নিলে না দুঃখ দিলে  আমার সুখ কেড়ে নিলে।  ভাববে কেন দুঃখ দিলে  কাঁদবে যখন তোমার ভুলে; দেখো তখন অতীত ফিরে  আমি ছিলাম তোমাকে ঘিরে  তোমার দেহের পাশটি ঘেঁষে  দেখবে আমি আছি বসে।  তোমার ভুল ভাঙব...

অন্তপুরিকা

অন্তপুরিকা, কেমন আছো তুমি বলতে পারো কতদিন আমায় দেখনি?  খুজনি কী পথে-ঘাটে গোধূলি লগ্নে  দেখনি কী মোহনিদ্রায় স্বপ্নে  তোমার দুটি চোখ বুজেনি কী ইন্দ্রজাল ঘিরে  আমি আসতে পারিনি ব্যস্ত ছিলাম কাজের ভিড়ে ফিরে গেলে কেন এলেনা আমার শান্তিনীড়ে  হয়তো ভয় বা সংশয় ছিল তোমায় ঘিরে।  অন্তপুরিকা, তুমি কি খুজনি তারার মাঝে  পড়েনি কি মনে আমায় নিত্য সব কাজে  সমিরন তোমায় দেয়নি কি বলে  তুমি এসে ফিরে গিয়েছো চলে।  দিনমণি আমার কথা কি বলেনি  নাকি ঘনশিয়ায় দেখা মেনে নি  আমি ছিলাম আমারই শান্তিনীড়ে  লোচন তোমার ভোরে কি ছিল নীরে নাকি অভিমান ভরে ফিরেছো গৃহে  আমি ছিলাম আমারে শান্তিনীড়ে।  অন্তপুরিকা, নাইবা  তুমি এলে না হল দেখা  আমি রবো তরুতলে ছায়া মাখা রবো একা।  পাখি তার আপন গানে  জাগাবে গান আমার প্রাণে বৃক্ষলতা সবুজধানে হবে কথা আমার গানে  মিষ্টি মধুর পাবো যে সুর পাখির কলতানে।  বায়ু আমায় প্রেরণা দেবে তরু দেবে দীক্ষা মাটির কাছে পাবো আমি সহিঞ্চুতা শিক্ষা  বিশ্বাস তোমার নাইবা পেলাম  না তুমি এলে...

ওরা মুক্তিযোদ্ধা

মায়ের ভাষা বাঁচিয়ে রাখতে   যারা শুনেছিল মাতৃভূমির ডাক,  অত্যাচারের জর্জরিত নিপীড়িত মানুষের হাহাকার শুনেছিল পুত্রকন্যা মা-বোনের কান্না আহাজারি আর্তনাদ; যারা বাংলা মায়ের ভাষায় কথা বলতো, লিখত বর্বর সেই পাকহানাদারদের রুখতে  তারাই হাতে তুলে নিল অস্ত্র!  যারা শুনেছিল একটি কন্ঠের উদাত্ত আহ্বান  ছুটে গিয়েছিল ছিনিয়ে  আনতে মায়ের সম্মান।  যাদের খুলে রঞ্জিত বাংলা মায়ের বুক  জননীর  স্বাধীনতায় রয়েছে তাদেরই অবদান।  গর্ভধারিণীর ডাকে তারা ফিরবে না ঘরে  মিশে গেছে আজ যারা জননীর তরে।  মাঝে লাল বৃত্তের সবুজ পতাকায় তাদেরই স্মৃতি অম্লান  বিশ্বের দরবারে তারাই দিয়েছে বাংলা মায়ের স্থান।  তাদের অনেকে হয়েছে শহীদ   ফিরেছেবা কেউ গাজীবেশে  তিরিশ লক্ষ প্রাণের খুন ঢেলে যারা লিখে গেল বাংলাদেশের নাম।  হারিয়েছে যদিও সন্তান বাংলা মায়ের গর্বে ভরা প্রাণ,  মিশবে না ধুলোয় তাদের স্মৃতি রবে চির অম্লান।  তারা রয়েছে বাংলার বুকে, যুগে যুগে রবে মানুষের মুখে  চিরকাল পাবে তারাই সম্মান - ওরা মুক্তিযোদ্ধা।...

একুশ মানে

একুশ মানে  লাখো শহীদের রক্ত ঝরা স্মৃতি ; একুশ মানে শত ছেলে মেয়ের মাতৃভূমি প্রীতি।  একুশ মানে হাজারো মানুষের সারি বেঁধে পথ চলা ; একুশ মানে বাংলা মায়ের ভাষায় কথা বলা।  একুশ মানে কোটি মানুষের স্বজন হারানোর দুখ; একুশ মানে বাংলা মায়ের গর্বে ভরা বুক।  একুশ মানে বাংলার বুকে রক্তের ছড়াছড়ি ; একুশ মানে  অমর হে শহীদ, তোমাদের মোরা স্মরি।

ব্যর্থ প্রয়াস

একদা তোমায় দেখেছিনু একটি নিভৃত কোণে কিছু কথা বলব বলে,  তুমি না শুনেই গেলে চলে।  তারপরে আর কাছে ডাকিনি এমনকি আসতেও পারিনি  তোমার কাছে কোন কালে,  শুধু দূর থেকে চেয়ে থেকেছি  তোমার পানে আনমনে।  জানিনা তুমি কি ভেবেছিলে  সেদিন আমার ডাক,  একটি কথা বলতেই   উঠে চলে গেছিলে  শুনবো না বলে।  আমার কোন অধিকার ছিল না  তোমাকে আটকে রাখার  কিছু বলতে যেয়েও গেছিনু থেমে  এরপরক্ষণে ভেবেছিনু  এক মনে।  একি হল কি করলাম আমি  কেন পারলাম না বাঁধ সাধতে, আমার পৃথিবীটা তখন  মনে হল শূন্য  তবুও আরেকটিবার দেখার জন্য  দাঁড়িয়েছিনু রাস্তায়।  তারপর ফিরে আসতেই  শুনতে পেলাম কুমন্ত্রনা ধ্বনি  যদিও আমার অনিচ্ছা সত্বেও  ফিরে আসতে হয়েছিল  তবুও ছেড়ে আসতে পারিনি  বিবেকের ধ্বংসনে ফিরেছিলাম  তোমার পিতা-মাতার সামনে।  শুনেছিলাম যত কথা  পেয়েছিলাম মনে তত ব্যথা।   হারিয়েছিলাম সেথা  যা ছিল মোর মনে  চেয়ে তব পানে।  হারিয়ে আপনা মান  কেমনে শুধবে এ অপমান...

ভালোবাসা মিছে আসা

ভালোবাসা শুধু মিছে আশা,  ক্ষণিকের তরে একটু ভাবা তারপরে হারিয়ে যাওয়া  যেখানে নেই কোন বাস্তবতা,  নেইতো কোনো আশা ; শুধু দুঃখ ব্যথা আর ব্যর্থতা! আশা সে তো মরীচিকা  দূর থেকে দেখা কোন আলো কাছে গেলেই হতাশা।  দূর থেকে অনেক দূরে  কিন্তু মনের চাওয়া পাওয়ার  এখানে শেষ না হওয়া; মিছে বাসনার স্বপ্ন দেখা।  কখনো বা এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকা  অথচ আলো  বলে আলেয়ার পিছু ছোটা,  কখনো বা হোঁচট খেয়ে ফিরে আসা।  তবে কি এটাই ভালোবাসা?  যার নেই তো কোন পাওয়া  শুধু হারানোর ব্যথা নিয়ে  জীবনের চাওয়ার শেষ না হওয়া। 

স্বাধীনতা তুমি

 স্বাধীনতা তুমি  স্নিগ্ধ সকাল,  অপার ভুবন।  স্বাধীনতা তুমি  মুক্ত বিহঙ্গ,  অবাধ বিচরণ।  স্বাধীনতা তুমি  বিজয়ের শপথ,  মুক্তির স্লোগান।  স্বাধীনতা তুমি  বিতাড়িত পাকহানাদার,  শোষণ বঞ্চনার অবসান।  স্বাধীনতা তুমি  আলোর মিছিল,  জীবনের জয়গান।  স্বাধীনতা তুমি  উদীয়মান সূর্য,  শহীদের স্মৃতি অম্লান ।  স্বাধীনতা তুমি  নাগরিক অধিকার,  আশার  স্বপন।  স্বাধীনতা তুমি  সম্ভাবনাময় অগ্রগতি,  অব্যাহত উন্নয়ন ।  স্বাধীনতা তুমি  শান্তির নীড,  ন্যায়ের শাসন।   স্বাধীনতা তুমি  বিশ্বের মানচিত্রে ,  বাংলার আসন । 

ভাল লাগে

ভাল লাগে শুয়ে শুয়ে থাকতে  আর তোমার কথা ভাবতে।  ভাল লাগে তোমার অপেক্ষার প্রহর গুনতে  আর স্বপ্নের জান বুনতে। ভাল লাগে তোমার দেখা পেলে  আর তুমি কাছে এলে।  ভাল লাগে তোমার কথা বলা  আর তোমার পথ চলা।  ভাল লাগে তোমার সাথে থাকতে  আর হাতে হাত রাখতে।  ভাল লাগে তোমার পাশে বসতে  আর দেহের পরশ অনুভব করতে।  ভাল লাগে তোমার পানে চেয়ে থাকতে  আর রূপ সুধা পান করতে।  ভাল লাগে তোমার মায়াবী দুচোখ  আর মিষ্টি দুটি ঠোঁট।  ভাল লাগে তোমার জন্য কিছু করতে পারা  আর তোমার হাসির ফোয়ারা।  ভাল লাগে তোমার সাথে কথা বলতে  আর একসাথে পথ চলতে।  ভাল লাগে আমার প্রতি তোমার অবিশ্বাস  আর শুধুই দীর্ঘশ্বাস।  ভাল লাগে তোমার চলে যাওয়া  আর পেছন ফিরে চাওয়া।